মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, লামা (বান্দরবান) প্রতিনিধি ঃ
বান্দরবানের লামার বর্তমান বিভাগীয় বন কর্মকর্তার (ডিএফও) রফিকুল ইসলাম চৌধুরী’র বিদায় ও নবাগত ডিএফও কামাল উদ্দিন আহমেদ এর বরণ অনুষ্ঠান ১লা সেপ্টেম্বর বিকাল ৫টায় লামা বন বিভাগের রেষ্ট হাউজে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা সকল কাঠ ও বাশঁ ব্যবসায়ী নেতা, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সরকারী বেসরকারী কর্মকর্তা, সাংবাদিক ও বন বিভাগের লোকজন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নাইক্ষ্যংছড়ি কাঠ ব্যবসায়ী নেতা মো. ইমরান মেম্বার, আবু মো. ইসমাইল নোমান, লামা কাঠ ব্যবসায়ী সভাপতি মো. ইসমাইল বেঙ্গল সহ বন প্রহরী ফজলুর রহমান, ডলুছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা কাজী বিল্লাল হোসেন, নাইক্ষ্যংছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা এসএম হারুণ, লামা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার শেখ মাহাবুবুর রহমান, লামা পৌরসভা মেয়র জহিরুল ইসলাম, বান্দরবান জেলা পরিষদ সদস্য মোস্তফা জামাল, আলীকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম, লামা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল, বিদায়ী ডিএফও রফিকুল ইসলাম চৌধুরী ও নবাগত ডিএফও কামাল উদ্দিন আহমেদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন লামা সদর রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা শেখ শহিদুল ইসলাম।
কাঠ ব্যবসায়ী নেতারা বক্তব্যে বলেন, বিদায়ী বিভাগীয় বন কর্মকর্তার রফিকুল ইসলাম চৌধুরী আমাদের দিকে প্রচুর খেয়াল রেখেছেন। তিনি ব্যবসায়ীদের অত্যান্ত বন্ধু ছিলেন। নবাগত ডিএফও কামাল উদ্দিন আহমেদ ধারাবহিকতা রক্ষা করবেন আশা করি। বিদায়ী ডিএফও এর দায়িত্বকালীন সময়ে আমরা ব্যবসায়ীরা কখনও কষ্ট পাইনি। তিনি নতুন করে কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের দায়িত্ব নিয়েছেন শুনে আমরা আনন্দিত। পূর্বের ন্যায় আমরা ব্যবসায়ীরা লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি হতে কাঠ ঢাকা ও চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে বিশেষ সুবিধা পাব আশা করি। লামা বন বিভাগের ২বছর দায়িত্ব পালনকালে অফিসের কোন কাজে আমরা ভোগান্তির স্বীকার হয়নি।
উল্লেখ্য ব্যবসায়ী ও বন বিভাগের বিশেষসূত্রে জানা যায়, পাহাড়ে ও জোতের বাগানে কাঠ না থাকলেও প্রায় দেড় লক্ষ ঘনফুট কাঠের পারমিট লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি ব্যবসায়ীদের হাতে মজুদ রয়েছে।
পাঠকের মতামত: